১। গাছঃ দ্রুত বর্ধনশীল এবং জমি ঢেকে যায়, গাছ একটু ছড়িয়ে যায়, কাণ্ড তেমন লম্বা নয় তবে শক্ত ও সংখ্যায় বেশী, পাতা চওড়া ও হাল্কা সবুজ বর্ণের, পাতার প্রান্ত ঢেউ খেলানো।
২। আলু : ডিম্বাকার, মাঝারী, মসৃণ ত্বক ও ফ্যাকাসে হলুদ বর্ণ, শাঁস ফ্যাকাসে হলুদ এবং চোখ অগভীর।
৩। শুষ্ক পর্দাথ : ২০.৬০ ± ১ %।
৪। অঙ্কুর : আঁটসাট, প্রথমে গোলাকার পরে ডিম্বাকৃতি, রং উজ্জল লাল-বেগুনী, গোড়ার দিকে হালকা সবুজ হয়, কিঞ্চিৎ লোমশ।
৫। অঙ্কুরোদগম : সাধারণ তাপমাত্রায় ৫০-৬০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
৬। বিশেষ বৈশিষ্ট্য : রোগ বালাই ও মাটির জলাভাব সহ্য করতে পারে।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: উত্তরাঞ্চলে মধ্যে- কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বপনের পর থেকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে আলু উঠাতে হয়।
৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-৩৫০ কেজি, টিএসপি ১২০-১৫০ কেজি, এমওপি ২৫০-৩৫০ কেজি, জিপসাম ১০০-১২০ কেজি, জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি (অম্লীয় বেলে মাটির জন্য), বোরিক এসিড ৮-১০ কেজি (বেলে মাটির জন্য)। গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।