১। গাছঃ কিছুটা ছড়ানো হয়, কাণ্ডের সংখ্যা বেশী ও হালকা সবুজ বর্ণের। পাতা মাঝারী গোলাকার ও হালকা সবুজ।
২। আলুঃ ডিম্বাকার, আকার মাঝারী, অমসৃণ ত্বক এবং সাদাটে হালকা হলুদ বর্ণ, শাঁস ফ্যাকাসে হলুদ এবং চোখ অগভীর।
৩। শুষ্ক পর্দাথঃ ১৯.৪০ ± ১ %।
৪। অঙ্কুরঃ অঙ্কুর প্রথমে গোলাকার পরে লম্বা হয়, তামাটে লাল বেগুনী বর্ণের এবং গোড়ার দিকে একটু সবুজ ভাব থাকে ও কিঞ্চিৎ লোমশ হয়।
৫। অঙ্কুরোদগমঃ সাধারণ তাপমাত্রায় ৬৫-৭০ দিনে অঙ্কুর (স্প্রাউট) বের হয়।
৬। বিশেষ বৈশিষ্ট্যঃ সাধারণ তাপমাত্রায় অঙ্কুর বের হতে প্রায় ৩ মাস সময় লাগে বিধায় কৃষকের ৫-৬ মাস পর্যন্ত আলু ঘরে সংরক্ষণ করে খেতে পারে। মড়ক ও ভাইরাস রোগ সহনশীল।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বপনের সময়
: উত্তরাঞ্চলে মধ্য- কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বর মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)।
২ । মাড়াইয়ের সময়
: বপনের পর থেকে ৯০-৯৫ দিনের মধ্যে আলু উঠাতে হয়।
৩ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-৩৫০ কেজি, টিএসপি ১২০-১৫০ কেজি, এমওপি ২৫০-৩৫০ কেজি, জিপসাম ১০০-১২০ কেজি, জিংক সালফেট ৮-১০ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট ৮০-১০০ কেজি (অম্লীয় বেলে মাটির জন্য), বোরিক এসিড ৮-১০ কেজি (বেলে মাটির জন্য)। গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ও জিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাঁকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।