নিরাপদ সবজি চাষী আলমগীর হোসেনের সাফল্য
মোঃ আলমগীর হোসেন ,বয়স ৩৮ বছর বাড়ী শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের লক্ষীকান্তপুর গ্রামে।ভাগ্য বিড়ম্বনায় নিজের ভাগ্য উন্নয়নে ২০১৩ সালে গিয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে বেশি দিন থাকতে পারেননি দেশে ফিরে আসেন ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফিরে এসে নিজের পায়ে দাড়াতে চেষ্টা করেন , শুরু করেন নিজের জমিতে সবজি চাষ । আলমগীর হোসেনের এই উদ্যেগী মনোভাব দেখে জয়নগর ইউনিয়নের লক্ষীকান্তপুর ব্লকের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন তাকে আধুনিক উপায়ে সবজি চাষের প্রশিক্ষন দেন এবং দ্রুতই সে আধুনিক উপায়ে চাষের উপায় রপ্ত করে ফেলেন । সবজি চাষের ধারনা টি পেয়েছিলেন মধ্যপ্রাচ্যে থাকতে কারন আলমগীর হোসেন কাজ পেয়েছিলেন একটা কৃষি খামারে। খামারে কাজের অভিজ্ঞতা তাকে এ কাজে বেশ পারদর্শী করে তোলে। জাজিরা উপজেলায় উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ ফসল উৎপাদন কর্মসূচীর কাজ শুরু হলে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন তাকে নিরাপদ সবজি উৎপাদনের প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করতে দিলে সে সঠিক ভাবে করে ব্যাপক সাফল্য পায়।পরের বছর নিজ উদ্যেগে উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন এর সহযোগিতায় নিরাপদ ক্ষিরাই উৎপাদন হাতে নেয় এবং সে বছর মাত্র ১০শতাংশ জমিতে কেজি ক্ষিরাই পান যা বিক্রি করে ২৮,০০০ টাকা খরচ বাদে ২৫,০০০.টাকা লাভ করেন। তার ক্ষিরাই কোন রাসায়নিক ছাড়া উৎপাদিত হয় বলে স্থানীয় বাজারে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এপর আলমগীর হোসেন ২০১৬ সালে ৫ বিঘা জমিতে নিরাপদ সবজি হিসাবে শসা এবং ক্ষিরাই চাষ করেন এবং ২ বিঘা জমিতে টমেটোর চাষ করে অভ’তপূর্ব সাফল্য লাভ করেন।।বছর শেষে সে ৩বিঘা জমির ক্ষিরাই বিক্রি করে ১,৬০,০০০ টাকা পান এবং ২ বিঘা জমির শসা বিক্রি করে ১,৫০,০০০টাকা পান। ২ বিঘা জমির নিরাপদ বিষমুক্ত টমেটো বিক্রি করে ২,১০,০০০টাকা পায়। আলমগীর কে নিরাপদ চাষে প্রেরনাদাযক হিসাবে কাজ করে উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ ফসল উৎপাদন কর্মসূচী প্রকল্পটি। তার ্এ নিরাপদ সবজি উৎপাদনে সহায়ক ভ’মিকা পালন করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান, উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইসমাইল হোসেন। ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে তার নিরাপদ সবজির ক্ষেত পরিদর্শন করেন শরীয়তপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক জনাব মোঃ কবির হোসেন তিনি বলেন ’’ নিরাপদ ফসল উৎপাদন বর্তমানে একটা চ্যালেঞ্জ, সে চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলার জন্য উত্তম কৃষি ব্যাবস্থ্া প্রকল্প এর মাধ্যমে যে নিরাপদ ফসল উৎপাদন আন্দোলন শুরূ হয়েছে তার সফলতার একটা চিত্র হলো আলমগীরের টমেটো, ক্ষিরাই, শসার ক্ষেত’।
আলমগীর তার নিরাপদ ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করে কম্পোস্ট সার, ফেরোমন ফাঁদ, ব্যাগিং,নেটিং এবং কিছু গ্রোথ হরমোন। বর্তমানে আলমগীরের দেখাদেখি তারেই গ্রামে র্আও ৩০ -৩৫জন কৃষক একই উপায়ে নিরাপদ সবজি উৎপাদন করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে , যেমনটি বলেছিলেন আলমগীর নিজেই ””আমি ২০১৫ সালে কৃষি অফিস থেকে নিরাপদ সবজি প্রদর্শনী পাই এবং ভাল ফলন প্ওায়ার পরে তখন থেকেই প্রত্যেক মৌসুমে কম্পোস্ট, ফেরোমন ফাঁদ দিয়ে ফসল উৎপাদন করে নিজে খাই এবং বিক্রি করি, এভাবে সবাই যদি বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করি তাহলে আমাদের আর ভেজাল ্ও বিষ যুক্ত ফল ্ও সবজি খেতে হবে না””। নিরাপদ সবজির উদ্যেক্তা আলমগীরের সফলতার গল্প বলতে গিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের, উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন”’কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বর্তমানে নিরাপদ ফসলের উৎপাদনের ক্ষেত্রে অধিক গুরত্ব দিয়ে আসছে, তারেই ধারাবাহিকতায় র উত্তম কৃষি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য পরিবেশ বান্ধব নিরাপদ ফসল উৎপাদন কর্মসূচী প্রকল্পটি চমৎকার একাট ধারনা নিয়ে আসছে যা নিরাপদ খাদ্য ্উৎপাদনে ্ও সম্প্রসারণে গুরত্বপূর্ন ভ’মিকা পালন করে চলছে, আমি এর ধারাবাহিকতা ্ও সফলতা কামনা করছি”’
উত্তর সমূহ